এই ছবিটার কতটা গভীরে যেতে পারেন? life hack!!
ছবিটি দেখার পর আপনাদের মনে অনেক নেতিবাচক ধারণা চলে আসতে পারে, কিন্তু ছবিটির সত্যতা জানার পর আপনাদের চোখে জলও চলে আসতে পারে।
ইউরোপের একটি দেশে একজন বৃদ্ধলোককে অনাহারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে জেলে ভরে রাখা হয়েছিল। তার সাজাটা ছিল এমন যে সে না মারা যাওয়া পর্যন্ত তাকে কিচ্ছু খেতে দেওয়া হবে না।
লোকটার মেয়ে তার বাবা না মারা যাওয়া পর্যন্ত রোজ তার বাবাকে জেলে দেখতে যাওয়ার জন্য আদালতে অনুমতি চাইল।
আদালত তাকে অনুমতি দিল। মেয়েটা জেলে ঢোকার সময় সিকিউরিটি গার্ড তাকে তল্লাশি করত। আর তাই সে খাওয়ার মতো কিছুই তার বাবার জন্য জেলে নিয়ে যেতে পারত না।life hack!!
বাবার অনাহারে মরতে বসার দুর্দশা মেয়েটা সহ্য করতে পারছিল না। একজন স্নেহময়ী মায়ের নজরে সে তার বাবার দিকে তাকাত। আর তাই বাবাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মেয়েটা রোজ তার বাবাকে বুকের দুধ খাওয়াত।
আর এভাবে অনেকদিন পার হয়ে গেলেও লোকটা মারা গেল না। সিকিউরিটি গার্ডরা মেয়েটাকে সন্দেহ করলো এবং একদিন বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মেয়েটাকে ধরে ফেলল।
তার নামে একটা মামলা করল। কিন্তু মেয়েটার নিঃস্বার্থ কর্ম জেলারের মন জিতে নিল এবং সাথে তার বাবার মুক্তিও জয় করে নিল।
একটা মেয়ে ভালোবাসা আর ত্যাগে পূর্ণ, তা সে একজন মানুষের জীবনে যে ভূমিকাই পালন করুক না কেন, কখনো সে হতে পারে মা, কখনো বোন, স্ত্রী বা বান্ধবী।
উপরের চিত্রকর্মটি ইউরোপের সবথেকে দামী চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে একটি। লোকটির নাম ছিল সাইমন আর মেয়ের নাম পেরো। পরে একে 'রোমান চ্যারিটি' নাম দেয়া হয়।
0 comments:
Post a Comment